obaydulbc Trainer 2 years ago |
১৮ নভেম্বর সিলভার স্ক্রিনে মুক্তি পেয়েছে মিস্ট্রি ক্রাইম থ্রিলার দৃশ্যম টু। সাত বছরের পুরনো ঘটনার ফাইল খোলা হল বড় পর্দায়। দৃশ্যম টুয়ের টিজার-ট্রেলারে সেই বিষয়টা একেবারে স্পষ্ট করেই দেখানো হয়েছিল। দৃশ্যম টুয়ে ঠিক ঘটতে চলেছে তার বেশ খানিকটা ইঙ্গিত আমরা আগেই পেয়েছি। কিন্তু, সিনেমা হলে চাক্ষুস দেখার মজাটা যদিও আলাদা। সেই জন্যই তো ছবি মুক্তির আগে অ্যাডভান্স টিকিট বুকিং যেমন নজর কেড়েছিল তেমনই ব্যাস্ততম দিনে দৃশ্যম টু মুক্তির পরেও বক্স অফিসে একেবারে বাম্পার হিট অজয় দেবগন, তব্বু, শ্রীয়া সোরেন আর অক্ষয় খান্না অভিনীত দৃশ্যম টু।
একটা ছাপোষা সাধারণ পরিবারের মাথায় বিরাট দুঃশ্চিন্তা। খুনের ঘটনায় যে কোনও দিন হাতকড়া পড়তে পারে এই দুশ্চিন্তাতেই কাটে প্রতিটি রাত। তবুও ‘ক্ষমতাশালী’দের সঙ্গে ইঁদুর-বেড়াল লড়াইয়ে সামিল হয়েছেন 'খুনি'বিজয় সালগাঁওকর ওরফে অজয় দেবগন।
দৃশ্যমে আমরা দেখেছিলাম কী কারণে IG মীরা দেশমুখ ওরফে তব্বুর ছেলেকে কেন খুন করেছিলেন অজয়। সাধারণ দর্শক হিসাবে অনেকেই হয়তো অজয়ের পাশে থাকবেন কিন্তু, চিত্রনাট্যের গল্প অনুযায়ী, মা হিসাবে মীরা দেশমুখ একমাত্র ছেলের হত্যাকারী বা খুনীর পরিচয় জানতে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়ে যাচ্ছেন। আর ঠিক সেখানেই দৃশ্যম টুয়ে গ্র্যান্ড এন্ট্রি নিলেন নতুন অফিসার তরুণ আহলাওয়াত যাঁর চরিত্রে অভিনয় করেছেন অক্ষয় খান্না।
দীর্ঘ দিন পর বড় পর্দায় ফিরে স্বমহিমায় দর্শকের মনোরঞ্জন করলেন দৃশ্যম টুয়ের স্টার কাস্টে নয়া সংযোজন অক্ষয়। শেষ পর্যন্ত মীরার ছেলের খুনিকে কী নতুন অফিসার ধরতে পারবেন সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই কিন্তু, হলমুখী হয়েছে দর্শক।
টানটান উত্তেজনা নিয়েই শেষ হয়েছিল দৃশ্যমের প্রথম ভাগ। বিল্ডিংয়ের নীচে মীরার ছেলের শবদেহকে পুঁতে দিয়েছিলেন বিজয়। প্রমাণের অভাবে বিজয় ও তাঁর পরিবারক ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছিল পুলিশ।
যাঁরা দৃশ্যম দেখেছে তাঁরা জানেন কী ভাবে গোটা পুলিশ ডিপার্টমেন্টকে ঘোল খাইয়েছিলেন বিজয়। তাই দর্শকের জানার উৎসাহ ছিল আদৌ কী কোনও দিন খুনি হিসাবে কোনও দিন অজয়কে ধরতে পারবে পুলিশ।
মৃত্যুরহস্য কী তাহলে শেষ পর্যন্ত উদঘাটন করা সম্ভব হল? 'খুনি' বিজয় সালগাঁওকর স্বাভাবিকজীবনে ফিরে এলেও তাঁর পরিবার কিন্তু, আজও আতঙ্কে রয়েছে। বিজয় তো একন সিনেমা হলের মালিক। একটা ছবি প্রোডিউস করার স্বপ্ন রয়েছে তাঁর দুচোখে।
এদিকে বাড়িতে পুরনো ঘটনা নিয়ে টু শব্দটি যাতে কেউ না করে তার জন্য কড়া নির্দেশিকা জারি করেছে বিজয়। দৃশ্যম হোক বা দৃশ্যম টু প্রতিটি চরিত্রের সাবলীল অভিনয় মুগ্ধ হয়ে দেখছে দর্শক। প্রতিটি পরতে পরতে রয়েছে উত্তেজনা।
নাটকীয়তা, সাসপেন্স আর প্রতিটি চরিত্রের ভিতর টানাপোড়েনের কাহিনিতে দৃশ্যম টু সেলুলয়েডে সুপারহিট। শ্রীয়া সরেনের অভিনয় দর্শকের দরবারে প্রশংসিত হয়েছে ঠিকই তবে একটা নেতিবাচক দিক কিন্তু রয়েছে।
স্বামীর জীবনে যে কোনও সময় অন্ধকারের কালো মেঘ ঘণিভূত হতে পারে সেই জন্য তাঁর ভিতরের যে উৎকণ্ঠা সেটা যেন ঠিক মতো ফুটল না পর্দায়। গোটা ছবি জুড়ে যেন কথা বলছে অজয়ে চোখ। সব মিলিয়ে মাল্টি স্টার কাস্টের দুরন্ত পারফরম্যান্সে দৃশ্যম টু প্রথম দিনেই ১৪ থেকে ১৫ কোটির ব্যবসা করে ফেলেছে।
Alert message goes here